Farakka STPS, highest emitter (ফারাক্কা STPS: সর্বোচ্চ নির্গমনকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্র)

 




পশ্চিমবঙ্গের থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টগুলি স্টাবল বার্নিংয়ের তুলনায় ১৮ গুণ বেশি SO₂ উৎপন্ন করে, CREA জানায়

পশ্চিমবঙ্গের থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টগুলি প্রতি বছর ৩১৩ কিলোটন সালফার ডাই অক্সাইড (SO₂) নির্গত করে, যা ৮.৯ মিলিয়ন টন ধান খড় পোড়ানোর মাধ্যমে উৎপন্ন ১৭.৮ কিলোটনের ১৮ গুণ বেশি। এই তথ্য সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা, সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (CREA) এর একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টে SO₂ নির্গমনের প্রকৃত চিত্র

এই গবেষণা সারা বিশ্বে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে অনেক বড় প্রশ্ন উত্থাপন করেছে, বিশেষত যখন আমাদের দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেকটাই কয়লা নির্ভর। পশ্চিমবঙ্গের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির সারা বছরের নির্গমন পরিমাণ এবং তাতে থাকা সালফার ডাই অক্সাইড (SO₂) এর মাত্রা সত্যিই অবাক করার মতো। এই SO₂ নির্গমন শুধুমাত্র পরিবেশে প্রভাব ফেলছে না, মানুষের স্বাস্থ্যের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

কয়লার ব্যবহার বাড়ানোর কারণে পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। CREA-র প্রতিবেদনে এই বিষয়টি আরও বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে, ফ্লু গ্যাস ডেসালফিউরাইজেশন (FGD) সিস্টেমের অভাব এবং কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে যে বিপুল পরিমাণে SO₂ নির্গমন হচ্ছে, তার মোকাবেলা করার জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

ফ্লু গ্যাস ডেসালফিউরাইজেশন (FGD) সিস্টেমের গুরুত্ব

FGD সিস্টেম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি যা SO₂ এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফ্লু গ্যাস ডেসালফিউরাইজেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাসকে নিষ্ক্রিয় করে সালফিউরিক অ্যাসিডের মতো ক্ষতিকারক উপাদানে পরিণত হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব। এছাড়া, এটি বায়ু মান উন্নত করতে সাহায্য করে এবং মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর পরিমাণও কমিয়ে আনে।

CREA জানিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের কোনও থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টে এখনও পর্যন্ত FGD সিস্টেম ইনস্টল করা হয়নি, ফলে SO₂ নির্গমনের পরিমাণ অনেক বেশি হচ্ছে। যদিও কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র FGD সিস্টেম স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে, তবুও সেই কাজটি ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সময়ে সম্পন্ন করা হয়নি।

পশ্চিমবঙ্গের থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের SO₂ নির্গমন: তুলনামূলক বিশ্লেষণ

CREA-র গবেষণা আরও স্পষ্ট করে তুলেছে যে, পশ্চিমবঙ্গের থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টগুলির SO₂ নির্গমনের পরিমাণ পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় খড় পোড়ানোর মাধ্যমে উৎপন্ন দূষণের পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি। তবে খড় পোড়ানো মৌসুমী একটি সমস্যা, যেখানে নির্দিষ্ট সময়ে উচ্চমাত্রার দূষণ ঘটে, কিন্তু থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টগুলি বছরের পর বছর একটানা দূষণ সৃষ্টি করে, যা বায়ু মান এবং জনস্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে যে, খড় পোড়ানো দূষণ সাময়িক, কিন্তু থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দূষণ স্থায়ী, এবং এটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বেড়ে ওঠে না, বরং প্রতি বছর এবং প্রতিদিন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।



Honeywell Air Purifier for Home & Office, 3-in-1 filter - Pre-Filter, H13 HEPA Filter, Activated Carbon Filter, Removes 99.99% Pollutants, Allergens, Pet Danger, Smoke, Dust & Pollens - Air touch V1

Price Under your budget , Use this Air Purifier , Check with Amazon 

ColourWhite
BrandHoneywell
Product Dimensions21.5D x 21.5W x 32.2H Centimeters
Floor Area235 Square Feet
Specification MetHEPA
Power Source
Corded Electric
Item Weight
1.5 Kilograms
Control Method
Touch
Filter Type
Activated Carbon

  • এই আইটেম সম্পর্কে"

    • আপনার ঘর এবং অফিসকে ধোঁয়া, ধুলা, ফুলের পরাগ, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং পোষা প্রাণীর বিপদ থেকে রক্ষা করুন, যাতে নিরাপদ অভ্যন্তরীণ পরিবেশ নিশ্চিত হয়।
    • 99.99% মাইক্রো অ্যালার্জেন এবং বায়ুবাহিত দূষণকারী যেমন PM 2.5 এবং PM 10 সরিয়ে ফেলে।
    • CADR 152 m3/h পর্যন্ত এবং কভারেজ এলাকা 235 বর্গফুট বা 22 বর্গমিটার, প্রতি ঘণ্টায় 2টি এয়ার চেঞ্জ সহ।
    • 3-স্তরের পরিস্কারের প্রক্রিয়া: প্রি-ফিল্টার, উচ্চমানের H13 HEPA ফিল্টার এবং অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ফিল্টার।
    • প্রতিটি 12 মিনিটে উন্নত 3-স্তরের পরিস্কারের সিস্টেম।
    • 29db/A কম শব্দের স্তর, যা শান্ত অপারেশন নিশ্চিত করে।
    • একটি টাচ কন্ট্রোল।
ভারত: বিশ্বের সবচেয়ে বড় SO₂ নির্গমনকারী দেশ

CREA-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় SO₂ নির্গমনকারী দেশ। ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা যা প্রায় পুরোপুরি কয়লা নির্ভর, এটি বিশ্বব্যাপী ২০% এর বেশি SO₂ নির্গমনের জন্য দায়ী। ২০২৩ সালে ভারতের SO₂ নির্গমন ৬,৮০৭ কিলোটনে পৌঁছেছে, যা তুরস্ক (২,২০৬ কিলোটন) এবং ইন্দোনেশিয়া (২,০১৭ কিলোটন) এর মতো অন্যান্য বড় উৎপাদক দেশগুলির থেকে অনেক বেশি।

এই পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে, ভারতের শক্তি খাত SO₂ দূষণজনিত সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে, এবং এর জন্য শুধুমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা নয়, অন্যান্য খাতে কয়লার ব্যবহারও দায়ী।

FGD সিস্টেমের কার্যকারিতা: ভারতের শিখর গবেষণা

ভারতের অন্যতম প্রখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT), দিল্লির এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে FGD সিস্টেম ব্যবহারে SO₂ এর মাত্রা ৬০-৮০ কিলোমিটার অঞ্চলে ৫৫% এবং ১০০ কিলোমিটার অঞ্চলে ৩০% পর্যন্ত কমানো সম্ভব। এই প্রযুক্তি যদি পশ্চিমবঙ্গের থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোতে বাস্তবায়ন করা হয়, তবে SO₂ এর নির্গমন ৬৪% পর্যন্ত কমানো সম্ভব, যা বায়ু মানের উন্নতির পাশাপাশি জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও ভূমিকা রাখতে পারে।

CREA-র মতে, FGD সিস্টেমগুলির ইনস্টলেশন সারা দেশে বাড়ানো দরকার, কারণ এটি SO₂ দূষণের একটি কার্যকর প্রতিকার হতে পারে। তবে, বহু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখনও এই সিস্টেমগুলো বাস্তবায়ন করতে পিছিয়ে আছে, যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।



ফারাক্কা STPS: সর্বোচ্চ নির্গমনকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্র

CREA-র গবেষণা অনুযায়ী, ফারাক্কা স্টেশন (STPS) হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় SO₂ নির্গমনকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ফারাক্কা STPS, যা প্রতিবছর ৪৬ কিলোটন SO₂ নির্গত করে, FGD প্রযুক্তি ইনস্টল হলে তার নির্গমন ৭৩% কমে ১২ কিলোটনে নেমে আসবে। তদ্ব্যতীত, হালদিয়া TPP (৪৪ কিলোটন) এবং মেজিয়া TPS (৪৩ কিলোটন) সহ অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও FGD প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করলে বড় পরিমাণে SO₂ কমানোর সুযোগ পাবে।

এই গবেষণা প্রকাশের সময়, CREA আরও জানিয়েছে যে, দেশের বিভিন্ন পাওয়ার প্ল্যান্টে FGD প্রযুক্তি ইনস্টলেশনের অগ্রগতি সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য এখনো সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি (CEA) ওয়েবসাইটে আপডেট করা হয়নি।

কলকাতার বায়ু দূষণ পরিস্থিতি: শীতকালীন প্রভাব

CREA-র SO₂ নির্গমন সম্পর্কিত গবেষণাটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন কলকাতার বায়ু দূষণ খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। শীতের শুরুতে শহরের বায়ু মান "Poor" ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে, যা পরিবেশ ও স্বাস্থ্য রক্ষায় বড় সংকেত। ঠাণ্ডার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুতে থাকা ক্ষতিকর কণার পরিমাণও বাড়ছে, এবং এতে বিশেষ করে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।


Post a Comment

0 Comments