ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তিন দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর শুধুমাত্র একটি কূটনৈতিক ব্যস্ততা ছিল না; এটি ছিল বৈদেশিক নীতিতে একটি চতুর চাল। কৌশলগত অবস্থানের মাধ্যমে, এই সফর ভারতের বৈশ্বিক ভূমিকাকে কেন্দ্রীয় অবস্থানে নিয়ে এসেছে এবং নিশ্চিত করেছে যে ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, ভারত মার্কিন রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে থেকে যাবে। কোয়াডের আলোচনা থেকে শুরু করে বিশ্ব নেতাদের সাথে উচ্চ পর্যায়ের সাক্ষাৎ পর্যন্ত, প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যতের সুর নির্ধারণ করেছে এবং বৈশ্বিক মঞ্চে ভারতের মর্যাদা আরও সুসংহত করেছে।
একটি কূটনৈতিক বিজয়: ২০২৫ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিশ্চিত করা
এই কূটনৈতিক সফলতার মূল ছিল মোদীর কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দায়িত্ব বিনিময় করা, যা নিশ্চিত করে যে নতুনভাবে নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তা তিনি কমলা হ্যারিস হন বা ডোনাল্ড ট্রাম্প, ২০২৫ সালে যে দেশগুলির মধ্যে প্রথমে সফর করবেন তার মধ্যে ভারত অন্যতম। এটি একটি কৌশলগত কৃতিত্ব, যা নিশ্চিত করে যে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের গতিশীলতা নতুন প্রশাসনের অধীনে অব্যাহত থাকবে, ওয়াশিংটনে রাজনৈতিক পরিবর্তন সত্ত্বেও।
২০২৫ সালে কোয়াড শীর্ষ সম্মেলন ভারতে আয়োজন করে মোদী কেবল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পুনরায় নিশ্চিত করেননি, বরং ভারতকে এমন একটি দেশে পরিণত করেছেন, যা নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে। এটি নিশ্চিত করে যে ভারত মার্কিন বৈদেশিক নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে, যা ভারত-মার্কিন সম্পর্কের আরও উন্নয়নের সম্ভাবনা তৈরি করবে এবং উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।
মোদী-বাইডেন সম্পর্ক: কোয়াডের স্থায়ীত্ব রক্ষা করা
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে ডেলাওয়্যারে তার বাড়িতে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে শুরু হয়। এই ব্যক্তিগত স্থানটি দুই নেতার ব্যক্তিগত সম্পর্কের গুরুত্বকে স্পষ্ট করেছে, যা ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বের বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
মোদীর এই সফর শুধু দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি বৈশ্বিক নেতৃত্বে ভারতের ভূমিকার পুনর্বিবেচনারও সূচনা করেছে।
0 Comments