সুপ্রিম কোর্ট ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে বেআইনি বুলডোজার উচ্ছেদ স্থগিত করেছে। আদালত লক্ষ্য করেছে যে অভিযুক্তদের বাড়িঘর এবং সম্পত্তি ধ্বংস করার বিষয়টি "গৌরব ও সমর্থন" পেয়েছে, যদিও ২ সেপ্টেম্বরের আদেশে বলা হয়েছিল যে বিচারাধীন বা দোষী সাব্যস্তদের বাড়িঘর ধ্বংস করার জন্য আইন অনুমতি দেয় না।
বেআইনি উচ্ছেদ স্থগিত
বিচারপতি বি.আর. গাভাই এবং কে.ভি. বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানিয়েছে, ২ সেপ্টেম্বরের আদেশের পরও অনেক জায়গায় উচ্ছেদ অব্যাহত রয়েছে। আদালত বলেছিল, “কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারবে না।” বিচারপতি বিশ্বনাথন আদালতে উপস্থিত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বলেছিলেন, “২ সেপ্টেম্বরের পরে বুলডোজারের সমর্থনে বক্তব্য এসেছে।” বিচারপতি গাভাই বলেন, বেআইনি উচ্ছেদ বন্ধে কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বুলডোজার ব্যবহার চালু ছিল। তাই এবার এই কার্যক্রম বন্ধের সময় এসেছে।
আদালত আরও জানায়, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি ছাড়া কোনো বুলডোজার উচ্ছেদ হবে না। তবে এই স্থগিতাদেশটি অবৈধ স্থাপনা যেমন রাস্তায়, ফুটপাতে বা রেললাইনের কাছে থাকা বাড়িঘরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বিচারপতি বিশ্বনাথন বলেন, বেআইনি উচ্ছেদ বন্ধ করার উপায় নিয়ে সরকার সহায়তা করবে।
সরকারের বক্তব্য
সলিসিটর জেনারেল মেহতা দাবি করেন, আবেদনকারীরা আদালতে বুলডোজার উচ্ছেদকে রঙিন আকারে উপস্থাপন করছেন। তিনি বলেন, উচ্ছেদগুলি আইন অনুযায়ী এবং নোটিশের ভিত্তিতে হয়েছে। তবে বিচারপতি বিশ্বনাথন বলেন, ২ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে মেহতা নিজেও বেআইনি উচ্ছেদকে সমর্থন করেননি, কিন্তু এরপরও তা অব্যাহত রয়েছে। বিচারপতি আরও বলেন, “দেশে এই ধরনের কার্যক্রম কি চলতে পারে? বেআইনি কারণে কোনোভাবেই উচ্ছেদ করা যাবে না।”
আদালতের নির্দেশ
আদালত জানিয়েছে, অবৈধ কাঠামো ধ্বংস করতে কোনো ধর্মীয় স্থান, মসজিদ, মন্দির বা গুরুদ্বারও যদি বেআইনি স্থাপনা হয়, তবে তা ধ্বংস করা যেতে পারে। তবে ধর্মীয় বা অন্য কোনো কারণে বেআইনি উচ্ছেদ গ্রহণযোগ্য নয়। আদালত নতুন নির্দেশিকা জারি করবে যাতে বেআইনি উচ্ছেদ একটি খারাপ স্বপ্নে পরিণত হয়।
নতুন নিয়মাবলী প্রণয়নের প্রয়োজন
সুপ্রিম কোর্ট ২ সেপ্টেম্বর একটি সার্বজনীন নির্দেশিকা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এতে বেআইনি কাঠামো চিহ্নিতকরণ, নোটিশ প্রদান এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য প্রক্রিয়াটি সহজতর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
0 Comments